অতিথি প্রতিবেদক:: স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সরকার ঘোষিত মুজিববর্ষ পালনে বছর ব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করেছে সিলেট বন বিভাগ। গাছের চাঁরা বিতরণ, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান, রচনা প্রতিযোগিতা, আলোকসজ্জা, সামাজিক বনায়ন উপকার ভোগীদের মধ্যে অনলাইন সেবা সহজকরণ, আলোচনা সভা ইত্যাদি কর্মসূচী পালনে ইতিমধ্যে বনবিভাগ তার কার্যক্রম শুরু করেছে।
সিলেট বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, মুজিব বর্ষের কর্মসূচীর অংশ হিসেবে সিলেট বন বিভাগ ইতিমধ্যে চারা উত্তোলন কার্যক্রম, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করেছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীতে দু’টি গ্রæপে রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। ক গ্রæপে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত রচনার বিষয় হচ্ছে, বঙ্গবন্ধুর শৈশব ও কৈশোর। খ গ্রæপে রচনার বিষয় থাকবে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক ও কর্মময় জীবন। জন্মদিন, শোক দিবস পালনসহ বছরের বিশেষ দিনগুলোতে আলোচনা সভা ছাড়াও সিলেট বন বিভাগ সামাজিক বনায়ন উপকার ভোগীদের মধ্যে সেবা সহজকরণের আওতায় অনলাইনে তাদের লভ্যাংশ বিতরণ করা হবে। উপকার ভোগীরা যেখানে নির্ধারিত স্থান ছাড়া চেক গ্রহণ ও টাকা উঠানো সম্ভব ছিল না। এ কার্যক্রমের ফলে উপকার ভোগীদের নিজ নিজ একাউন্টে টাকা জমা হবে। তাছাড়া মুজিব বর্ষের ১৭ই এপ্রিল সিলেট বিভাগের দর্শণীয় স্থান, বিশেষ করে খাদিমনগর, টিলাগড়, মাধবকুন্ডসহ অন্যান্য সংরক্ষিত স্থান সবার জন্য উম্মুক্ত থাকবে। দর্শনার্থীরা বিনা ফি এসব স্থানের সৌন্দয্য উপভোগ করতে পারবে।
সিলেট বিভাগীয় বন সংরক্ষক এস এম সাজ্জাদ হোসেন জানান, মুজিববর্ষে সারাদেশে প্রায় ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রত্যেকটি উপজেলায় এক কোটি গাছের চারা রোপণ করার উদ্যোগ নিয়েছে বন অধিদফতর। তার অংশ হিসেবে সিলেট বিভাগের চারটি জেলার ৪০টি উপজেলায় ৮ লক্ষ ১৩ হাজার গাছের চারা বিতরণ করা হবে। তাছাড়াও সিলেট বিভাগের ১৯টি সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্যদের মাধ্যমে ৫হাজার করে গাছের চারা বিতরণ করা হবে। তিনি জানান, দেশীয় প্রজাতির বিশেষ করে বনজ, ফলদ, ঔষধি ও শোভাবর্ধনকারী গাছকে এক্ষেত্রে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। গাছের মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশই হবে ফলদ প্রজাতির। ফলদ গাছের মধ্যে আম, জাম, কাঁঠাল, তেঁতুল, লিচু, পেয়ারা, জামরুল, করমচাসহ বড় গাছের চারাই বেশি প্রাধান্য পাবে। অন্যদিকে শোভা বর্ধনকারী গাছের মধ্যে ফুলের গাছ থাকবে, তাতে রাখা হতে পারে গোলাপ, জবা, ঝুমকো লতা, অপরাজিতা, মাধবীলতা, বেলি, রঙ্গন ও কাঠগোলাপ। এর পাশাপাশি রাখা হয়েছে পাতাবাহার জাতীয় গাছও। এর মধ্যে থাকতে পারে বাগান বিলাসসহ বেশকিছু গাছ। ঔষধি গাছের মধ্যে শতমূলী, নিশিন্দা, নাগমণি, ফণীমনসা, চন্দন, অর্জুন, ঘৃতকুমারী, রক্তচন্দন, নাগেশ্বরসহ বিভিন্ন দেশীয় প্রজাতির গাছ থাকছে।
জানা যায়, প্রতিবারই ৪ জুন বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আন্তর্জাতিক পরিবেশ দিবস উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠান হয়। এবারের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মেলন কেন্দ্রের চত্বরে একটি গাছ রোপণ করার মধ্য দিয়ে এই এক কোটি চারা বিতরণের উদ্বোধন করবেন। এরপরই সব উপজেলায় চারা বিতরণ এবং রোপণের কাজ শুরু করা হবে।